কোরয়ানের পাখি সাঈদীর মৃত্যু: মধ্যরাতে শাহবাগে নেতাকর্মীদের মিছিল
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর খবরে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় মিছিল করেছে।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে অনেক নেতাকর্মী শাহবাগ মোড় থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের (সাবেক শেরাটন হোটেল) মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।
জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের এই অবস্থান ঘিরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাঈদী। এরপরই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর মধ্যে আজ রাতে জামায়াত নেতা সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন চেকপোস্টে তল্লাশি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়গুলোকে আরও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এক কথায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
এর আগে রোববার দুপুরে কাশিমপুর কারাগারে বুকে ব্যথা অনুভব করায় সাঈদীকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কর্তব্যরত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা আনা হয়।
এদিন রাতে সাঈদীকে বিএসএমএমইউয়ের কার্ডিওলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. চৌধুরী মেশকাত আহমদের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হয়। তিনি বিএসএমএমইউয়ের ডি ব্লকের দ্বিতীয় তলার সিসিইউ-২ এর ৬ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেফতার হন সাঈদী। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।