ব্যারিস্টার সুমন বনাম আরিফ খান জয় একাডেমির প্রীতি ফুটবল ম্যাচ
দীর্ঘ বছর পর নেত্রকোনা আধুনিক স্টেডিয়ামে এই প্রথম কানায় কানায় পুর্ন ছিলো খেলার মাঠ। স্টেডিয়ামে ঢুকতে না পেরে অনেকেই কার্ড হাতে নিয়েই ফিরে গেছেন। ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম আরিফ খান জয় ফুটবল একাডেমির প্রীতি ফুটবল ম্যাচে নেত্রকোনার ক্রীড়ামোদিদের মাঝে এক জাগরণ সৃষ্টি করেছে। অমিমাংসিত খেলাতেই খুশি খেলোয়াড় এবং দর্শক।
শুক্রবার বিকালে নেত্রকোনা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের উদ্যোগে নেত্রকোনা স্টেডিয়ামে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সকাল থেকেই দলে দলে আসতে শুরু করেছেন এক নজর ব্যারিস্টার সুমনকে দেখতে। বিকাল তিনটার মধ্যেই কানায় কানায় ভরে যায় পুরো স্টেডিয়ামটি।
১৬ হাজার দর্শক ধারণের গ্যালারি উপচে খেলার মাঠে তৈরী হয়েছে আরও একটি মাঠ। দূর দূরান্ত থেকে আসা মানুষকে সামলাতে হিমশিম খেয়েছে আয়োজন কমিটির ভলান্টিয়ার সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আড়াইশ পুলিশ দিয়েও কন্ট্রোল করা যায়নি মানুষের উত্তেজনা। লক্ষাধিক দর্শকের সমাগম হলেও খেলায় কোন গোল হয়নি। এ নিয়ে কিছু কষ্ট থাকলেও এটাকে তারা ফুটবলের জয় বলে মনে করছেন। এদিকে মাঠে নেমে গেলে দর্শকের চাপে পড়ে খেলার ইতি টানেন খেলোয়ারড়া। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটার আগেই গোল ছাড়াই ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় নিধারিত সময়ের আগে। এদিকে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও ধন্যবাদ জানিয়েছে খেলা দেখতে আসা দর্শনার্থীদের। তবে এখনো ফুটবলের প্রতি মানুষের প্রেম এটা প্রমাণিত হয়েছে বলে খুশি প্রকাশ করেছেন উভয় দলের খেলোয়াররাই।
নেত্রকোনা টিমের কোচ আব্দুল আওয়াল বলেন, জেলায় যখন আধুনিক স্টেডিয়াম ছিলো না তখন এমন দর্শক ছিলো। এখন আধুনিক স্টেডিয়াম হয়েছে কিন্তু দর্শক নেই। তিনি মনে করেন খেলাধুলা চর্চার একমাত্র উপায় লীগ দেয়া। এদিকে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমির কোচ ম্যানেজার সাজিদুল ইসলাম বলেন, দেশে খেলার মাধ্যমে যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে ফুটবলের দায়িত্ব সুমনের মতো মানুষের কাছে দেয়া প্রয়োজন। বর্তমান ফুটবল এসোসিয়েশনের ব্যাখ্যা তুলে ধরে ফুটবলে এখন কার প্রয়োজন সাংবাদিকদের কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
ব্যারিস্টার সুমন জানান, মানুষের মাঝে ফুটবলের জাগরণ সৃষ্টি করতেই তিনি এমন আয়োজনে যাচ্ছেন জেলায় জেলায়। এই জেলার উপচে পড়া ভিড়ে তিনি আনন্দ নিয়েই ফিরছেন বলে জানালেন। অরিফ খান জয় বলেন, এই মাঠ থেকে আমার মতো আরও খেলোয়াড় তৈরী করার আশাতেই আমাদের এই প্রয়াস।