খোদা সাক্ষী, আমি আর্মি সংশোধনী বিলে স্বাক্ষর করিনি’
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
পাকিস্তানের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ আইনের সংশোধনীতে স্বাক্ষর করেননি দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টের সংশোধনীতে তিনি স্বাক্ষর করেননি। কারণ হিসেবে আলভি বলেন, কর্মীরা তাঁর নির্দেশনা ক্ষুণ্ণ করেছেন।
স্বাক্ষর না করার ব্যাপারে সামাজিক মাধ্যম এক্সে (টুইটারের নতুন নাম) রোববার (২০ আগস্ট) আলভি বলেন, ‘খোদা আমার সাক্ষী, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০২৩ এবং পাকিস্তান আর্মি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০২৩ এর সঙ্গে একমত না হওয়ায় আমি তাতে স্বাক্ষর করিনি।’
আলভি আরও বলেন, ‘এই প্রস্তাবনা বাতিল করার জন্য স্বাক্ষরবিহীন বিল কর্মীদেরকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফেরত দিতে বলেছি। এই কাজ তারা ঠিকমতো করেছে কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি বারবার জিজ্ঞেস করেছি। তারা আমাকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে।’
স্বাক্ষর না করার কারণ হিসেবে আলভি বলেন, ‘আমি আজ (রোববার) জানতে পেরেছি, কর্মীরা আমার ইচ্ছা এবং আদেশকে অবমূল্যায়ন করেছে। আল্লাহ সব জানেন, তিনিই ক্ষমা করবেন। তবে যারা ভুক্তভোগী হবেন, তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, শনিবার (১৯ আগস্ট) এ দুটো বিলের সংশোধনী আলভির কাছে পাঠানো হয়। এর আগে পাকিস্তানের সিনেট ও জাতীয় অ্যাসেম্বলিতে বিলগুলো অনুমোদন করা হয়।
তবে এ ব্যাপারে দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
সংশোধনীতে এমন কিছু ধারা যুক্ত করা হয়েছে, যাতে দেশের সামরিক বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আরও ক্ষমতা থাকবে। তবে সরকারে থাকা সাবেক নেতাদের রাজনীতির পথ সংকুচিত করবে এই আইন।
এমন এক সময় প্রেসিডেন্ট আলভি বিবৃতি দিলেন, যার এক দিন আগে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কোরেশিকে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এমনকি ইমরান খানের বিরুদ্ধেও এ আইনের আওতায় মামলা হয়েছে।
পাকিস্তানের সংসদ ৩১ জুলাই পাকিস্তান সেনাবাহিনী (সংশোধনী) বিল-২০২৩ পাস করে। এতে উল্লেখ আছে, জাতীয় নিরাপত্তা বা সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কিত সংবেদনশীল কোনো তথ্য কেউ প্রকাশ করলে, তাঁকে সম্ভাব্য পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হবে।